ট্রাম্পের কঠোর অভিবাসন নীতি: সীমান্তে জরুরি অবস্থা ঘোষণা ও আশ্রয় আবেদন বাতিল

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার অভিষেকের পরপরই অভিবাসন নীতিতে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন। দায়িত্ব নেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তিনি অবৈধ অভিবাসন রোধে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন। এর মধ্যে সীমান্তে জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা এবং আশ্রয়ের আবেদন প্রক্রিয়া বাতিলের সিদ্ধান্ত উল্লেখযোগ্য।

ট্রাম্প প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করার জন্য অতিরিক্ত জনবল ও প্রযুক্তি মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি ‘সিবিপি অন’ নামে একটি অ্যাপ বাতিল করা হয়েছে, যা অভিবাসীদের সীমান্ত পাড়ি দেওয়ার জন্য আগে থেকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেওয়ার সুযোগ দিত। নতুন নীতিমালার ফলে হাজারো অভিবাসীর নির্ধারিত অ্যাপয়েন্টমেন্ট বাতিল করা হয়েছে।
ট্রাম্প প্রশাসনের আরেকটি বিতর্কিত উদ্যোগ হলো জন্মগত নাগরিকত্বের সংজ্ঞায় পরিবর্তন আনা। এই নীতির আওতায় অবৈধ অভিবাসীদের সন্তানরা স্বয়ংক্রিয়ভাবে মার্কিন নাগরিকত্ব লাভ করবে না। তবে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে গেলে কংগ্রেসের অনুমোদন প্রয়োজন, যা সহজ হবে না।
ট্রাম্প প্রশাসনের আরেকটি বিতর্কিত উদ্যোগ হলো জন্মগত নাগরিকত্বের সংজ্ঞায় পরিবর্তন আনা। এই নীতির আওতায় অবৈধ অভিবাসীদের সন্তানরা স্বয়ংক্রিয়ভাবে মার্কিন নাগরিকত্ব লাভ করবে না। তবে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে গেলে কংগ্রেসের অনুমোদন প্রয়োজন, যা সহজ হবে না।
মেক্সিকোর মাদক চোরাচালান চক্রগুলোকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করার উদ্যোগ নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। সীমান্তে মাদক চোরাচালান বন্ধে আরও কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে নতুন প্রশাসন।
ওয়াশিংটনের এক অনুষ্ঠানে ট্রাম্প বিগত প্রশাসনের বেশ কিছু নীতি বাতিল করেছেন। তিনি এসব নীতিকে ‘উগ্রপন্থী’ বলে উল্লেখ করেন এবং তার পরিবর্তে ‘স্বাভাবিক অভিবাসন নীতি’ চালু করার প্রতিশ্রুতি দেন।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই নতুন নীতিগুলো আইনি বাধার সম্মুখীন হতে পারে। বিশেষত, জন্মগত নাগরিকত্বের সংজ্ঞায় পরিবর্তন আনতে হলে সংবিধান সংশোধন প্রয়োজন, যা রাজনৈতিকভাবে জটিল একটি প্রক্রিয়া।
ট্রাম্প বলেছেন, “আমার প্রধান দায়িত্ব হলো দেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করা এবং অবৈধ অভিবাসন বন্ধ করা।” তবে তার নীতিগুলো কতটা কার্যকর হবে, তা সময়ই বলে দেবে।