বার্সার অবিশ্বাস্য ঘুরে দাঁড়ানো: চ্যাম্পিয়নস লিগে ইতিহাস গড়ার রাত

বার্সেলোনার কোচ হান্সি ফ্লিক ২৯ বছরের কোচিং ক্যারিয়ারে এমন রোমাঞ্চকর ম্যাচ আগে দেখেছেন কি না, তা নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে এক শব্দে বললেন, ‘মনে হয় না।’
গতকাল লিসবনের চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপপর্বে বেনফিকার বিপক্ষে বার্সেলোনার ম্যাচটি যেন একটি ফুটবল থ্রিলার। দুবার ২ গোলে পিছিয়ে পড়েও ম্যাচ শেষ করেছে ৫–৪ ব্যবধানে জয় নিয়ে। বিরতির সময় ৩–১ এবং ৭৭ মিনিটে ৪–২ গোলে পিছিয়ে থাকা বার্সা শেষ ১৫ মিনিটে ৩ গোল দিয়ে শুধু ম্যাচই জিতেনি, উঠেছে শেষ ষোলোতে।

ফুটবলে ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প নতুন নয়। তবে প্রতিপক্ষের মাঠে এমন অবিশ্বাস্য জয়, তাও চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে প্রথম। ফ্লিক বললেন, ‘পাগলাটে ম্যাচ ছিল। বেনফিকা দারুণ খেলেছে, বিশেষ করে প্রথমার্ধে। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে আমরা মানসিকতা বদলেছি, ভালো পজিশন নিতে চেয়েছি, এবং জয়ের জন্য লড়েছি।’
৯৬ মিনিটে ব্রাজিলিয়ান তারকা রাফিনিয়ার গোলেই জয় নিশ্চিত হয়। মৌসুমে এরই মধ্যে ২২ গোল করা রাফিনিয়া বলেন, ‘এটা হয়তো আমার ক্যারিয়ারের সেরা সময়। বিরতির পর আমরা মানসিকতা বদলেছি এবং কখনো হাল ছাড়িনি।’
গোলকিপার সেজনির দুটি বড় ভুল বেনফিকার জয় থেকে দূরে সরে যাওয়ার মূল কারণ। যদিও ম্যাচে দুটি দুর্দান্ত সেভ করেও নাটকীয়তা রক্ষা করতে পারেননি।
ম্যাচ শেষে ফ্লিক গর্বিত, ‘সবচেয়ে ইতিবাচক ছিল আমাদের মানসিকতা। ফুটবল এমন রোমাঞ্চকর বলেই আমরা খেলাটিকে ভালোবাসি। এমন ঘুরে দাঁড়ানো সত্যিই অভাবনীয়।’
চ্যাম্পিয়নস লিগের এই রাতটি কেবল বার্সেলোনার জয় নয়, ফুটবলের অনন্য এক অধ্যায় হয়ে থাকবে।