নিষিদ্ধের জেরে নাশকতার শঙ্কা, বাড়ানো হয়েছে দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণার পর দেশজুড়ে নাশকতার আশঙ্কা করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গোপনে অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা হতে পারে—এমন আশঙ্কায় রাজধানীসহ সারাদেশে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। নিষিদ্ধ দলের নেতাকর্মীদের দেখামাত্রই গ্রেফতারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মাঠপর্যায়ের পুলিশ সদস্যদের।
গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তথ্য বলছে, নিষিদ্ধ দলটি সাইবার স্পেসেও সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তারা গোপন বৈঠক, অনলাইন যোগাযোগ ও ঝটিকা মিছিলের মাধ্যমে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে পারে। এসব কর্মকাণ্ড ঠেকাতে গোটা দেশে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ ও গোয়েন্দা বাহিনী।
ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, নিষিদ্ধ সংগঠনের কোনো কার্যক্রম ঢাকা এলাকায় বরদাশত করা হবে না। কেউ জড়িত থাকলে, এমনকি কোনো পুলিশ সদস্য যদি শিথিলতা দেখান, তার বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার এসএন নজরুল ইসলাম জানান, আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর সব ধরনের তৎপরতা বন্ধ করার নির্দেশ রয়েছে। এমনকি সাইবার জগতেও নিষিদ্ধ সংগঠনের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার নাসিরুল ইসলাম বলেন, অনেক নেতা-কর্মী বর্তমানে গোপনে তৎপরতা চালাচ্ছেন, যাদের তালিকা গোয়েন্দাদের কাছে রয়েছে। তালিকা অনুযায়ী গ্রেফতার অভিযান জোরদার করা হয়েছে। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে ঝটিকা মিছিল ও অনলাইন তৎপরতার কারণে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ঢাকার বাইরে থেকেও গ্রেফতার অভিযানে সহায়তা চাওয়া হচ্ছে, এবং আত্মগোপনে থাকা নেতাকর্মীদের ওপর বিশেষ নজরদারি চলছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি ইনামুল হক সাগর বলেন, যেকোনো অস্থিরতা সৃষ্টি বা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নষ্টের চেষ্টায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
ডিএমপির ডিসি মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, প্রতিদিনই চব্বিশের গণহত্যা মামলার আসামিসহ নিষিদ্ধ সংগঠনের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। রাজধানীর শান্তি রক্ষায় ডিএমপি সর্বদা সতর্ক রয়েছে।
