সরকারি চাকুরেরা আপাতত মহার্ঘ ভাতা পাচ্ছেন না

সরকারি চাকুরেরা আপাতত মহার্ঘ ভাতা পাচ্ছেন না। অর্থনীতির বর্তমান টালমাটাল অবস্থার কারণে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, জানুয়ারি থেকে মহার্ঘ ভাতা কার্যকর করার প্রাথমিক পরিকল্পনা থাকলেও তা স্থগিত করা হয়েছে।
সরকারের আশঙ্কা, মহার্ঘ ভাতা চালু হলে মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়বে এবং সমাজে আর্থিক বৈষম্য সৃষ্টি হবে। এ নিয়ে সমালোচনার মুখে সরকার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করেছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আয়-ব্যয়ের ভারসাম্য বজায় রাখা এবং ভাতার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ সংস্থান করা সরকারের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছিল। তবে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে নতুন অর্থবছরের বাজেটে বিষয়টি পুনরায় বিবেচনা করা হবে।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা জানান, অন্য খাত থেকে অর্থ সরিয়ে ভাতা প্রদানের খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছিল। কিন্তু প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে এটি অনুমোদন দেওয়া হয়নি।
সরকারের এই সিদ্ধান্তে সরকারি চাকুরেদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেকেই এ সিদ্ধান্তকে হতাশাজনক বলে উল্লেখ করেছেন।
দৈনিক যুগান্তরের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নৈশভোটের জন্য দায়ী কুশীলবদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অনুসন্ধান চালাচ্ছে। তবে, মাঠ পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের মধ্যে অনেকেই এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন।

দুদকের একটি বিশেষ দল নির্বাচনে অনিয়মের ঘটনায় জড়িত ১১৬ জন ডিসি-এসপি এবং থানার ওসিদের সম্পদের উৎস খতিয়ে দেখছে। অভিযোগ রয়েছে, এসব কর্মকর্তাদের অনেকেই বিপুল অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন।
সূত্র জানায়, নির্বাচনে দিনের ভোট রাতে করা, ব্যালট জালিয়াতি এবং আর্থিক লেনদেনসহ বিভিন্ন অনিয়মের ঘটনা ঘটেছিল। তবে অনেকেই এখনও বহাল তবিয়তে চাকরিতে আছেন, যা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে।