বিজ্ঞান অনুযায়ী ঘুমানোর সঠিক সময় কখন? জানুন সুস্থ থাকার গাইডলাইন

ভালো ঘুম মানেই ভালো স্বাস্থ্য। দৈনন্দিন জীবনে আমরা কর্মক্ষম, সতেজ ও মানসিকভাবে দৃঢ় থাকতে চাই—আর তার জন্য ঘুমের গুরুত্ব অপরিসীম। বিজ্ঞান বলছে, শুধু ঘুমানোই নয়, সঠিক সময়ে ও নিয়মিত ঘুমানো আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
বিজ্ঞান কী বলে?
বিজ্ঞান অনুযায়ী, রাতের বেলায় ঘুমানো শরীরের প্রাকৃতিক ছন্দের সঙ্গে সবচেয়ে ভালোভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
সাধারণভাবে রাত ১০টা থেকে ১২টার মধ্যে ঘুমাতে যাওয়া এবং সকাল ৭টা নাগাদ ওঠা স্বাস্থ্যকর ঘুমের জন্য উপযোগী সময়। তবে, প্রত্যেক মানুষের জীবনের ধরন ও শারীরবৃত্তীয় চাহিদা ভিন্ন হতে পারে।
সার্কেডিয়ান রিদম কী?
আমাদের শরীরের নিজস্ব জৈবিক ঘড়ি যাকে সার্কেডিয়ান রিদম বলা হয়, সেটি একটি প্রাকৃতিক ২৪ ঘণ্টার চক্র। এটি আলো ও অন্ধকারের প্রতিক্রিয়ায় কাজ করে এবং ঘুম, তাপমাত্রা, হরমোন নিঃসরণ, খিদে ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করে।
নিয়মিত ঘুমের সময়সূচী কেন জরুরি?
নিয়মিত ঘুমের অভ্যাস না থাকলে দেখা দিতে পারে :
দীর্ঘমেয়াদে হৃদরোগ বা মানসিক সমস্যার ঝুঁকি
মেজাজের সমস্যা
মনোযোগের অভাব
স্থূলতা
ডায়াবেটিস
সুস্থ ঘুমের জন্য গুরুত্বপূর্ণ টিপস
✅ প্রতিদিন একই সময়ে ঘুম থেকে উঠার জন্য অ্যালার্ম সেট করুন (সপ্তাহান্তেও)
✅ সকালের দিকে হালকা ব্যায়াম করুন
✅ ঘুমানোর অন্তত ৩ ঘণ্টা আগে অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন
✅ ঘুমানোর ৬ ঘণ্টা আগে থেকে চা-কফি ও অন্য ক্যাফেইন জাতীয় খাবার পরিহার করুন
✅ রাতে ভারী খাবার খাবেন না
✅ দিনে ২০–৩০ মিনিটের বেশি ঘুমাবেন না (ন্যাপ নিলে)
✅ মোবাইল বা স্ক্রিন ব্যবহার ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত ৩০ মিনিট আগে বন্ধ করুন
ঘুমের গুণমান খারাপ হলে কী হয়?
যদি আপনি নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুম না পান, তাহলে দীর্ঘমেয়াদে আপনি ভুগতে পারেন—
- ক্লান্তি ও অবসাদ
- চিন্তা ও মনোযোগে ঘাটতি
- মেজাজের পরিবর্তন
- ডিপ্রেশন
- হার্টের সমস্যা
- এমনকি ক্যান্সারের ঝুঁকিও বেড়ে যেতে পারে
স্মার্ট ঘুমের অভ্যাস গড়ে তুলুন, স্বাস্থ্যকর জীবন নিশ্চিত করুন। আজ থেকেই শুরু করুন সঠিক সময়ে ঘুমানোর অভ্যাস।