প্রতিদিন ওটস খাওয়ার ৫টি গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা

ওটস দীর্ঘদিন ধরেই স্বাস্থ্যসচেতন মানুষের কাছে জনপ্রিয় একটি খাবার। এটি শুধুমাত্র পেট ভরার সহজ উপায় নয়, বরং প্রতিদিনের পুষ্টির ঘাটতি পূরণে এবং বেশ কিছু রোগ প্রতিরোধে সহায়ক। ব্রেকফাস্টে ওটস খেলে আপনি সারা দিন সতেজ, হালকা এবং কর্মক্ষম থাকতে পারেন।
১. পেট ভরিয়ে রাখে এবং ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করে
ওটসে রয়েছে প্রচুর দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় ফাইবার, বিশেষ করে বিটা-গ্লুকান, যা ধীরে ধীরে হজম হয়। ফলে এটি দীর্ঘ সময় পেট ভরিয়ে রাখে এবং দ্রুত ক্ষুধা লাগে না। সকালবেলায় এক বাটি ওটস খেলে মধ্যাহ্নভোজের আগ পর্যন্ত অনাকাঙ্ক্ষিত স্ন্যাক্স খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়।
২. রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে
ওটসের গ্লাইসেমিক সূচক কম, যার মানে এটি রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা হঠাৎ বাড়িয়ে তোলে না। বিশেষ করে ওটসে থাকা বিটা-গ্লুকান গ্লুকোজ শোষণের গতি ধীর করে, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিন-এর গবেষণায় দেখা গেছে, ওটস রক্তে ইনসুলিন প্রতিক্রিয়া উন্নত করে।
৩. হজমশক্তি বাড়ায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
ওটসে থাকা ফাইবার অন্ত্রের গতিশীলতা বাড়ায় এবং নিয়মিত মলত্যাগে সহায়তা করে, ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য ও পেট ফাঁপা দূর হয়। যাদের হজম সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য এটি খুবই সহায়ক।
প্রাকৃতিক উপায়ে হজম ভালো রাখতে প্রতিদিন ওটস খাওয়া যেতে পারে।
৪. হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়
ওটসে থাকা বিটা-গ্লুকান কেবল রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণেই সাহায্য করে না, এটি LDL (খারাপ কোলেস্টেরল) এর পরিমাণও কমায়। এতে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যায়।
Whole Grains Council-এর তথ্য অনুযায়ী, ওটস নিয়মিত খেলে রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৫. ভিটামিন ও খনিজে পরিপূর্ণ
ওটসে রয়েছে:
- আয়রন – রক্তে হিমোগ্লোবিন তৈরিতে সহায়ক
- ম্যাগনেসিয়াম – স্নায়ুতন্ত্র ও হাড়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ
- জিঙ্ক – রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় প্রতিদিন এক বাটি ওটস খেলে শরীরের গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন ও মিনারেলের ঘাটতি পূরণ হতে পারে।
প্রতিদিন এক বাটি ওটস খেলে শরীরের গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন ও মিনারেলের ঘাটতি পূরণ হতে পারে।
ওটস কেবল একটি ব্রেকফাস্ট নয়, এটি একটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ও কার্যকর খাবার যা প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখা উচিত। হোক সেটা ওটমিল, স্মুদি বোল বা বেকড ওটস আপনার রুচি অনুযায়ী নিয়মিত গ্রহণ করুন এবং উপভোগ করুন সুস্থ-সবল জীবন।