প্রতিদিন আলু খাওয়ার অভ্যাসে যেসব স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে

আলু আমাদের খাদ্য তালিকার অন্যতম জনপ্রিয় উপাদান। ভাজি, ভর্তা, তরকারি—প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনোভাবে খাওয়া হয়। তবে প্রতিদিন বেশি পরিমাণে আলু খাওয়ার কিছু অবাঞ্ছিত প্রভাবও আছে। নিচে তুলে ধরা হলো এর ৫টি প্রধান পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া:
রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি :
আলুতে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (GI) বেশি হওয়ায় এটি রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়িয়ে তোলে। ঘন ঘন ও অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি ইনসুলিন প্রতিরোধ এবং বিভিন্ন জটিলতার ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
ওজন বৃদ্ধি :
বিশেষ করে ভাজা বা মাখনযুক্ত আলু খেলে শরীরে অতিরিক্ত ক্যালোরি ও অস্বাস্থ্যকর চর্বি জমে। যারা কম শরীরচর্চা করেন বা বেশি সময় বসে থাকেন, তাদের জন্য এটা ধীরে ধীরে ওজন বৃদ্ধির কারণ হতে পারে।
পুষ্টির ভারসাম্যহীনতা :
আলুর উপর অতিরিক্ত নির্ভরতা খাদ্যতালিকার বৈচিত্র্য নষ্ট করে। এতে করে প্রোটিন, আয়রন এবং প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যকর চর্বির মতো গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি দেখা দিতে পারে, যা দেহের স্বাভাবিক কার্যকারিতা ব্যাহত করে।
হজমের সমস্যা :
আলুতে থাকা প্রতিরোধী স্টার্চ অন্ত্রে গাঁজনের মাধ্যমে গ্যাস, ফোলাভাব এবং অস্বস্তি তৈরি করতে পারে। বিশেষ করে যারা হজমে সংবেদনশীল, প্রতিদিন আলু খেলে তাদের পেটে অস্বস্তি ও হজমজনিত সমস্যা বাড়তে পারে।
অ্যাক্রিলামাইডের সংস্পর্শ :
উচ্চ তাপমাত্রায় (যেমন—ভাজার সময়) আলু রান্না করলে অ্যামক্রিলামাইড নামের একটি রাসায়নিক তৈরি হতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, এটি ক্যান্সার সৃষ্টির সম্ভাব্য ঝুঁকি বহন করে। অতিরিক্ত ভাজা আলু খাওয়া দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতিকর হতে পারে।
করণীয় কী?
- প্রতিদিন আলু খাওয়ার অভ্যাস কমানো উচিত
- ভাজা বা অতিরিক্ত তেলে রান্না করা আলুর পরিবর্তে সেদ্ধ বা বেকড আলু বেছে নেওয়া ভালো
- খাদ্য তালিকায় সবজি, ফল, প্রোটিন ও আঁশসমৃদ্ধ খাবার রাখার চেষ্টা করা উচিত