রোজায় ঘুমের ঘাটতি কাটানোর ৪ কার্যকর উপায়

রমজান মাসে আমাদের দৈনন্দিন রুটিনের বড় পরিবর্তন ঘটে। সেহরি, ইফতার, তারাবিহসহ নানা ইবাদতের কারণে পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়ার সমস্যায় পড়তে হয় অনেককে। তবে দীর্ঘ সময় ঘুমের অভাব শরীরে ক্লান্তি, বিরক্তি এবং বিভিন্ন স্বাস্থ্যগত সমস্যার কারণ হতে পারে। তাই ঘুমের ঘাটতি পূরণ করা অত্যন্ত জরুরি।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডেইলি পাকিস্তান রমজানে ঘুমের অভাব কাটানোর কিছু কার্যকর উপায় তুলে ধরেছে। আসুন, জেনে নিই কীভাবে ঘুমের ভারসাম্য বজায় রাখা যায়—
১. ঘুমের নির্দিষ্ট রুটিন মেনে চলুন
রমজান মাসে ঘুমের সময়সূচি বদলে যায় বলে শরীরের অভ্যন্তরীণ ঘড়ি (বায়োলজিক্যাল ক্লক) প্রভাবিত হয়। তাই প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যাওয়া ও জেগে ওঠার অভ্যাস গড়ে তুলুন। ইফতার ও সেহরির মাঝের সময়টাতে অন্তত ৪ ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন, এবং সেহরি ও ফজরের পর আরও ২ ঘণ্টা বিশ্রাম নিন। এতে দৈনিক ৬ ঘণ্টা ঘুম নিশ্চিত করা সম্ভব হবে এবং শরীর সহজেই নতুন রুটিনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারবে।
২. ছোট বিরতিতে বিশ্রাম নিন
দিনের ব্যস্ততার মাঝেও যদি সম্ভব হয়, ২০-৩০ মিনিটের একটি ছোট্ট ঘুম নিয়ে নিন। এটি আপনার কর্মক্ষমতা বাড়াবে এবং ক্লান্তি দূর করবে। তবে দীর্ঘ সময় ঘুমানো এড়িয়ে চলুন, কারণ এতে রাতের ঘুম ব্যাহত হতে পারে।
৩. খাবারের দিকে বিশেষ নজর দিন
আপনার ডায়েট সরাসরি ঘুমের মানের ওপর প্রভাব ফেলে। সেহরি ও ইফতারে অতিরিক্ত মিষ্টি বা চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন, কারণ এগুলো হজমে সময় নেয় এবং ঘুমে বিঘ্ন ঘটাতে পারে। বিশেষ করে ঘুমানোর আগে চা বা কফি পান করবেন না, কারণ এতে থাকা ক্যাফেইন অনিদ্রার কারণ হতে পারে।
৪. পরিবেশকে ঘুমের উপযোগী করে তুলুন
ঘুমানোর জন্য শান্ত ও আরামদায়ক পরিবেশ তৈরি করুন। ঘর অন্ধকার, নিরিবিলি ও শীতল রাখার চেষ্টা করুন। অতিরিক্ত মোবাইল বা টিভি দেখার অভ্যাস কমান, কারণ স্ক্রিনের নীল আলো মেলাটোনিন হরমোনের ক্ষরণ কমিয়ে দেয়, যা ভালো ঘুমের জন্য প্রয়োজনীয়।
রমজানের শুরুতে নতুন রুটিনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে কিছুটা সময় লাগতে পারে, তবে উপরের পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করলে সহজেই ঘুমের ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব হবে। সুস্থ থাকুন, রমজানের সময়টাকে উপভোগ করুন!