Bangladesh - BanglaHealth & Wellbeing

৮টি খাবার বাড়াতে পারে তীব্র মাইগ্রেন!

অনেকেই জানেন না, কিন্তু কিছু নির্দিষ্ট খাবার মাথাব্যথা ও মাইগ্রেনের অন্যতম কারণ হতে পারে। নিউরোলজিস্ট ডেভিড বুখোলজ তার বই Heal Your Headache-এ উল্লেখ করেছেন যে, কিছু প্রচলিত খাবার মাইগ্রেন ট্রিগার হিসেবে কাজ করে। গবেষণায় দেখা গেছে, খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে অনেক ক্ষেত্রে মাইগ্রেন নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

যে ৮টি খাবার মাইগ্রেন বাড়াতে পারে:

১. সদ্য বেক করা রুটি

গরমাগরম রুটি, বেগেল বা ডোনাট খাওয়ার পর কি মাথাব্যথা হয়? এগুলোর মধ্যে থাকা ইস্ট মাইগ্রেনের অন্যতম ট্রিগার হতে পারে। তাই রুটিগুলো ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে খেলে ঝুঁকি কমতে পারে।

২. বেশি পাকা কলা ও অ্যাভোকাডো

সুস্বাদু ও পুষ্টিকর হলেও, বেশি পাকা কলা ও অ্যাভোকাডোতে থাকা টাইরামিন নামক উপাদান মাইগ্রেন সৃষ্টি করতে পারে। যখন এই ফলগুলো বেশি পেকে বাদামি রঙ ধারণ করে, তখন টাইরামিনের পরিমাণ বেড়ে যায়, যা মাথাব্যথার কারণ হতে পারে।

৩. সাইট্রাস ফল

কমলা, লেবু, মাল্টার মতো টকজাতীয় ফল ও এর জুস মাইগ্রেন ট্রিগার করতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব ফলে থাকা গ্লুটামেট মাথাব্যথার অন্যতম কারণ হতে পারে।

৪. মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট (এমএসজি)

চাইনিজ খাবারে এমএসজি বেশি থাকলেও, এটি প্রসেসড ফুড যেমন চিপস, স্যুপ ও ইনস্ট্যান্ট নুডলসেও থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে, কিছু মানুষের জন্য এমএসজি তীব্র মাথাব্যথার কারণ হতে পারে।

৫. টমেটো ও টমেটো সস

টমেটো প্রাকৃতিকভাবে ফ্রি গ্লুটামেট ধারণ করে, যা মাইগ্রেন বাড়িয়ে তুলতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অতিরিক্ত টমেটো সস খেলে মাথাব্যথা বেড়ে যেতে পারে।

৬. প্রসেসড ও সংরক্ষিত মাংস

“হট ডগ হেডেক” কথাটি মজার শোনালেও, হট ডগ, সসেজ, সালামি, বেকন-এর মতো নাইট্রেটযুক্ত প্রক্রিয়াজাত মাংস মাইগ্রেনের কারণ হতে পারে। দ্য ল্যানসেট-এ প্রকাশিত গবেষণায় দেখা গেছে, ১৩ জন অংশগ্রহণকারীর মধ্যে ৮ জন নাইট্রেট গ্রহণের পর মাইগ্রেনের শিকার হন।

৭. কাঁচা পেঁয়াজ

বিশ্বাস করা কঠিন হলেও, কাঁচা পেঁয়াজ অনেকের জন্য মাইগ্রেনের কারণ হতে পারে, যদিও রান্না করা পেঁয়াজে তেমন সমস্যা হয় না।

৮. অ্যাসপারটেম (নিউট্রাসুইট)

ডায়েট সোডা ও চিনিমুক্ত খাবারে ব্যবহৃত চিনি বিকল্প অ্যাসপারটেম কিছু মানুষের মধ্যে তীব্র মাইগ্রেনের সৃষ্টি করতে পারে। ২০১৭ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, বেশি অ্যাসপারটেম গ্রহণ করলে মাথাব্যথার হার বেড়ে যায়।

কীভাবে মাইগ্রেন নিয়ন্ত্রণ করবেন?

বিশেষজ্ঞদের মতে, খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করে ও ব্যক্তিগত ট্রিগার চিহ্নিত করে মাইগ্রেনের প্রকোপ কমানো সম্ভব। যদি উপরের খাবারগুলোর কোনোটি আপনার মাথাব্যথার কারণ হয়, তাহলে সেগুলো এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।

আপনার কি কোনো নির্দিষ্ট খাবার খাওয়ার পর মাথাব্যথা হয়? নিজের অভিজ্ঞতা আমাদের সঙ্গে শেয়ার করুন!

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button