Bangladesh - BanglaHealth & Wellbeing

সাহরিতে যে খাবারগুলো বেশি উপকারী

সাহরিতে সঠিক খাবারের নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি সারাদিনের শক্তি ও সুস্থতা বজায় রাখতে সহায়ক। অনেকেই সঠিক খাবারের বাছাইয়ে ভুল করেন এবং পরে গ্যাস্ট্রিক, বদহজম, অথবা তৃষ্ণার সমস্যা ভোগেন। তাই এখানে কিছু উপকারী খাবারের তালিকা দেওয়া হল, যা সাহরিতে খেলে সুস্থ থাকা সহজ হতে পারে।

১. উচ্চ কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার

রুটি, ভাত এবং আলুর মতো খাবারে জটিল কার্বোহাইড্রেট বেশি থাকে এবং এগুলো হজম হতে বেশি সময় নেয়। ফলে, এসব খাবার শক্তির স্তর বজায় রাখতে সাহায্য করে। তবে অতিরিক্ত মসলাদার খাবার থেকে বিরত থাকুন, কারণ এটি গ্যাস্ট্রিক এবং বদহজমের কারণ হতে পারে।

২. ফাইবার সমৃদ্ধ ফল এবং হোল গ্রেইন

ফল যেমন আপেল, কলা, এবং এপ্রিকট, এবং শস্য যেমন বার্লি, ছোলা ও ওটস খাবারে অন্তর্ভুক্ত করুন। ফাইবার পেট ভরিয়ে রাখে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সহায়তা করে। তবে খুব বেশি প্রোটিন বা ফাইবার খাওয়ার পরিমাণ বজায় রাখুন, কারণ অতিরিক্ত ফাইবার তৃষ্ণা বাড়িয়ে দিতে পারে।

৩. প্রোটিনের জন্য দুগ্ধজাত দ্রব্য এবং চর্বিহীন মাংস

সাহরিতে দুধ, ডিম, মুরগির মাংস, দই এবং মসুর ডালের মতো প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার রাখুন। এতে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হবে। প্রোটিনের পরিমাণ সাধারণত ৬০-৮০ গ্রাম হওয়া উচিত।

৪. কম গ্লাইসেমিক সূচকযুক্ত খাবার

কম গ্লাইসেমিক সূচকযুক্ত খাবার যেমন বাদাম, বীজ, ফাইবারযুক্ত খাবার এবং ঝোল-স্যুপ খেলে দীর্ঘ সময় ধরে পেট ভরা থাকে। এ ধরনের খাবার শরীরে শক্তি প্রবাহিত করে এবং ক্লান্তি ও অলসতা প্রতিরোধে সাহায্য করে।

৫. হাইড্রেট করা খাবার এবং পানীয়

সাহরিতে পর্যাপ্ত পানি পান করুন, তবে অতিরিক্ত পানি পান করবেন না, কারণ এটি পেটের অ্যাসিড পাতলা করতে পারে। চা বা কফি কম খাওয়ার চেষ্টা করুন, কারণ এতে ক্যাফেইন থাকে যা পানির ঘাটতি সৃষ্টি করতে পারে এবং তৃষ্ণা বাড়ায়। চিনিযুক্ত খাবার বা পানীয়ও দ্রুত হজম হয় এবং ক্ষুধার্ত করে তোলে।

সাহরির খাবারে পুষ্টির ভারসাম্য বজায় রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পুষ্টির উপাদানগুলির সঠিক পরিমাণ গ্রহণ করলে আপনি দীর্ঘ সময় সতেজ এবং সুস্থ থাকতে পারবেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button