শেখ হাসিনা ও পুতুলসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

ঢাকার পূর্বাচল আবাসিক এলাকায় প্লট বরাদ্দে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ মোট ১৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের ভিত্তিতে ঢাকার বিশেষ জজ আদালতের বিচারক জাকির হোসেন গালিব এই পরোয়ানা জারি করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, পূর্বাচলে ১০ কাঠা করে ছয়টি প্লট শেখ হাসিনা পরিবারের নামে বরাদ্দ দিতে গিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির আশ্রয় নেওয়া হয়েছে। তদন্তে উঠে এসেছে, আসামিরা একে অপরের সঙ্গে যোগসাজশ করে এই বরাদ্দ নিশ্চিত করেন। মোট ৬০ কাঠা জমির এই বরাদ্দে সরকারি নিয়মনীতি উপেক্ষা করা হয়েছে এবং এতে সরকারের স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
শুধু শেখ হাসিনা ও পুতুল নন, এই অনিয়মে সংশ্লিষ্ট ছিলেন আরও ১৬ জন কর্মকর্তা ও প্রভাবশালী ব্যক্তি। তাঁদের মধ্যে আছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের একাধিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, রাজউকের সাবেক সদস্য ও কর্মকর্তা, শেখ হাসিনার একান্ত সচিব, এমনকি সাবেক প্রতিমন্ত্রীও। অভিযোগ রয়েছে, এই জমি বরাদ্দে সংশ্লিষ্টরা ইচ্ছাকৃতভাবে বিধি-বিধান এড়িয়ে গেছেন এবং এক প্রকার সিন্ডিকেট তৈরি করে প্লট বরাদ্দের সিদ্ধান্ত কার্যকর করেন।
এই মামলা শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া প্রথম মামলা, যা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ে গঠিত দুর্নীতিবিরোধী কমিশনের পক্ষ থেকে আনা হয়েছে। দুদক জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে জড়িতদের বিরুদ্ধে অপরাধের প্রমাণ মেলায় এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং বরাদ্দ প্রক্রিয়ায় জড়িত অন্যান্য ব্যক্তিদের বিরুদ্ধেও পরবর্তীতে মামলা দায়ের করা হবে।