Health & Wellbeing

যে ভিটামিনের অভাবে সারাদিন শুয়ে-বসে থাকতে ইচ্ছে করে

অনেকেই অলসভাবে সময় কাটাতে ভালোবাসেন। তবে দীর্ঘ সময় ধরে অলসতা কেবল একটি অভ্যাস নয়—চিকিৎসকদের মতে, এর পেছনে থাকতে পারে শারীরিক ও মানসিক অসুস্থতার ইঙ্গিত। বিশেষ করে নির্দিষ্ট কিছু ভিটামিনের ঘাটতি এই ধরনের অতিরিক্ত ক্লান্তি ও অনীহার জন্য দায়ী হতে পারে।

বর্তমানে অনেকেই অভিযোগ করছেন, সকালে ঘুম থেকে উঠার পরও শরীরে চাঙা ভাব আসে না, কোনো কাজে উৎসাহ পাওয়া যায় না। সারাদিন শুয়ে-বসে কাটানোর প্রবণতা বেড়ে গেছে। এমনকি অফিসে যাওয়া, বাড়ির কাজ করা, নতুন কিছু শেখা সবকিছুতেই অনীহা কাজ করে। ব্যস্ত জীবনের মাঝেও শরীর ও মনে যেন ক্লান্তির পাহাড় জমে থাকে।

কী এই সমস্যার মূল কারণ?
চিকিৎসকদের মতে, শরীরে ভিটামিন ও খনিজের নির্দিষ্ট ভারসাম্য বজায় না থাকলে পেশি দুর্বল হয়ে পড়ে, শরীর ক্লান্ত হয়ে যায় এবং অলসতার অনুভূতি বাড়ে। বিশেষ করে দুটি ভিটামিনের অভাব এই সমস্যাকে তীব্র করে তুলতে পারে।

যে দুই ভিটামিনের অভাবে এমন হয়:

১. ভিটামিন ডি (Vitamin D)

ভিটামিন ডি-র অভাব হলে শরীরে ক্লান্তি, দুর্বলতা ও ঝিমুনি বেড়ে যায়।
এছাড়া,

  • হাড় ক্ষয় হতে পারে,
  • হাঁটুর ব্যথা দেখা দিতে পারে,
  • ত্বক, চুল, নখ এবং মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরও নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
    ভিটামিন ডি শরীরের সামগ্রিক সুস্থতার জন্য অপরিহার্য।

২. ভিটামিন বি১২ (Vitamin B12)

ভিটামিন বি১২-এর ঘাটতির ফলে:

  • অতিরিক্ত ক্লান্তি,
  • অনিদ্রা,
  • উদ্বেগ ও মানসিক অস্থিরতা দেখা দেয়।
    এছাড়া,
  • হাত-পা কাঁপা,
  • পেশিতে অসাড়তা,
  • পেশিতে টান ধরা,
  • মাথা ঘোরা ইত্যাদির সমস্যাও হতে পারে।

কীভাবে আলস্য কাটানো সম্ভব?

এই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে হলে জীবনযাপনে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনতে হবে। যেমনঃ

  • ভিটামিন সমৃদ্ধ সুষম খাদ্য গ্রহণ করা,
  • পর্যাপ্ত পানি পান করা,
  • প্রতিদিন অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা গভীর ঘুম নিশ্চিত করা,
  • এবং নিয়মিত ব্যায়াম করা।

শরীর ও মন সুস্থ রাখতে খাবারের প্রতি সচেতনতা ও জীবনযাপনের স্বাস্থ্যকর অভ্যাস খুবই জরুরি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button