রমজান মাসে রহমতের দশ দিনে যে দোয়া বেশি পড়বেন

রমজান মাস হলো আল্লাহর রহমত ও দয়া লাভের মাস। রমজানের প্রথম ১০ দিনকে ‘রহমতের দশক’ বলা হয়, যখন আল্লাহ তাঁর বান্দাদের প্রতি অশেষ দয়া বিতরণ করেন। এ সময়টি বিশেষভাবে দান, ইবাদত এবং তাওবা করার জন্য উপযুক্ত।
এ সময়ের গুরুত্ব সম্পর্কে সহিহ ইবনে খুজাইমা-তে বলা হয়েছে যে, প্রথম দশ দিনে আল্লাহ তাঁর বান্দাদের প্রতি রহমত বা দয়া বণ্টন করেন। এ মাসে পবিত্র কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে এবং শয়তানকে শিকল দিয়ে বন্দি করা হয়, যাতে বান্দারা সহজে নেক আমল করতে পারেন। জান্নাতের সব দরজা খুলে দেওয়া হয় এবং জাহান্নামের দরজা বন্ধ রাখা হয়, যা আল্লাহর অফুরন্ত রহমতের প্রকাশ।
রমজানে রহমত লাভের জন্য রোজাদারদের করণীয়:
- একনিষ্ঠতার সঙ্গে রোজা পালন করা।
- জামাতে নামাজ আদায় করা।
- তারাবিহ ও তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া।
- কোরআন তিলাওয়াত করা।
- দান-সদকা করা।
- আল্লাহর জিকির করা এবং তাকওয়া অর্জনে সচেষ্ট হওয়া।
প্রথম দশকে আল্লাহর অনুগ্রহ পেতে বিশেষ একটি দোয়া অধিক পাঠ করা যায়:
وَقُل رَّبِّ اغْفِرْ وَارْحَمْ وَأَنتَ خَيْرُ الرَّاحِمِينَ
উচ্চারণ: ওয়া কুর রব্বিগফির ওয়ার হাম ওয়া আনতা খইরুর রহিমিন।
অর্থ: আর বলুন, হে আমার রব! ক্ষমা করুন ও দয়া করুন, আর আপনিই তো সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু। (সুরা মুমিনুন ১১৮)
এই দোয়া পড়ার মাধ্যমে আমরা আল্লাহর কাছে ক্ষমা ও দয়া প্রার্থনা করি এবং তাঁর রহমত লাভের সুযোগ বাড়াই।
রমজানে প্রথম রাতে শয়তান ও অবাধ্য জিনগুলোকে শিকল দিয়ে বন্দি করা হয়, এবং জান্নাতের দরজাগুলো খুলে দেওয়া হয়, যা নেক আমল সহজ করে তোলে। একই সঙ্গে, বদ আমলের পথও বন্ধ করে দেওয়া হয়, যাতে রোজাদাররা শয়তানের প্ররোচনা থেকে মুক্ত থাকে।