প্রতি মাসের ১০ তারিখে চীনা ও কোরিয়ান বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে প্রাতঃরাশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ঘোষণা দিয়েছেন, চীনা ও কোরিয়ান বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে নিয়মিত সংলাপ নিশ্চিত করতে প্রতি মাসের ১০ তারিখে প্রাতঃরাশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় চীনা বিনিয়োগকারীদের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রধান উপদেষ্টা জানান, বিনিয়োগ সংক্রান্ত যেকোনো উদ্বেগ দূর করতে এবং বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগকে আরও দ্রুততর করতে এই মাসিক বৈঠকের আয়োজন করা হবে। তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার ইতোমধ্যেই বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে কাজ করছে এবং এর ফলে বাংলাদেশে চীনা ও দক্ষিণ কোরিয়ান উৎপাদন কারখানা স্থানান্তরের সুযোগ তৈরি হয়েছে।
তিনি বলেন, “গত আট মাসে আমরা দেশে বিনিয়োগ সহজীকরণে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিয়েছি। এর ফলে এখন বিদেশি বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশে এক অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়েছে।”
প্রেস উইং জানায়, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ প্রতি মাসের ১০ তারিখে এই প্রাতঃরাশ বৈঠকের আয়োজন করবেন। এসব বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টাও কিছু সময় অংশগ্রহণ করবেন এবং বিনিয়োগকারীদের সমস্যা ও পরামর্শ শুনবেন।
বৈঠকে আরও জানানো হয়, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ গ্রহণ ও দ্রুত সমাধানে একটি হটলাইন ও কল সেন্টার চালু করার প্রস্তাব দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। এতে বিনিয়োগকারীরা সরাসরি অভিযোগ জানাতে পারবেন।
এ দিনের বৈঠকে অবকাঠামো, বিদ্যুৎ, পরিবহন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, টেক্সটাইল, টেলিকম, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, লজিস্টিকস ও আইটি খাতের সঙ্গে যুক্ত অন্তত ৩০ জন চীনা বিনিয়োগকারী উপস্থিত ছিলেন। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন মেইনল্যান্ড হেডগিয়ার কোম্পানি লিমিটেডের ভাইস প্রেসিডেন্ট পলিন এনগান।
বৈঠকে ড. ইউনূস সম্প্রতি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকের কথাও উল্লেখ করেন, যেখানে শি বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগ উৎসাহিত করার প্রতিশ্রুতি দেন।
চীনা কোম্পানিগুলো চট্টগ্রামে চালু চীনা অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং মোংলায় প্রস্তাবিত নতুন অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখিয়েছে। চীন একটি সমুদ্রবন্দর আধুনিকীকরণেও আগ্রহী বলে প্রেস উইং জানায়।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন এসডিজি সমন্বয়কারী লামিয়া মোর্শেদ।