World - English

ট্রুডোর নরম সুর: যুক্তরাষ্ট্রকে সোনালি দিন ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করবে কানাডা

যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের হুমকির প্রেক্ষিতে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো সুর নরম করেছেন। এত দিন পাল্টা শুল্ক আরোপের হুমকি দিলেও এবার তিনি বলেছেন, কানাডা যুক্তরাষ্ট্রকে তার সোনালি সময় ফিরে পেতে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে।

গত সোমবার শপথ গ্রহণের পর দেওয়া বক্তৃতায় ট্রাম্প বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সোনালি দিন ফিরিয়ে আনতে চান তিনি। এ প্রসঙ্গে ট্রুডো বলেন, “আজকের অনিশ্চিত পৃথিবীতে কানাডা অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য অংশীদার।

নির্বাচনী প্রচারের সময় থেকেই ট্রাম্প কানাডা, মেক্সিকো ও চীনের পণ্যে শুল্ক আরোপের কথা বলে আসছেন। শপথ নেওয়ার পর তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, ১ ফেব্রুয়ারি থেকে কানাডার পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে।

শুল্ক আরোপ ঠেকাতে আপাতত ট্রুডো নরম কৌশল গ্রহণ করেছেন। তবে কানাডা পাল্টা ব্যবস্থার প্রস্তুতিও নিয়ে রেখেছে। শুল্ক আরোপ হলে কানাডা ফ্লোরিডার জুসসহ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন পণ্যে শুল্ক আরোপ করবে। এর আগে ট্রাম্প প্রশাসনের সময় এই কৌশল সফল হয়েছিল।

তবে এবার ট্রাম্প ঠিক কোন পণ্যে শুল্ক আরোপ করবেন, তা এখনও পরিষ্কার নয়। এতে কানাডা প্রশাসনের মধ্যে কিছুটা দ্বিধা দেখা দিয়েছে। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো জানিয়েছেন, প্রয়োজনে জ্বালানি রপ্তানিতে করারোপ বা নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হতে পারে। তবে অ্যালবার্টা প্রদেশের রাজ্যপ্রধান ড্যানিয়েল স্মিথ এই সিদ্ধান্তে একমত নন।

যুক্তরাষ্ট্র কানাডার রপ্তানি পণ্যের প্রধান গন্তব্য। কানাডার রপ্তানি পণ্যের প্রায় ৭৫ শতাংশই যুক্তরাষ্ট্রে যায়। বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্রের রপ্তানি পণ্যের মাত্র ১৭ শতাংশের গন্তব্য কানাডা। এই অসম বাণিজ্য ভারসাম্যের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য সংঘাতে জড়ানো কানাডার জন্য অনেক চ্যালেঞ্জিং।

জাস্টিন ট্রুডো বর্তমানে কানাডায় জনপ্রিয়তা হারিয়েছেন এবং পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। গত মঙ্গলবার ট্রুডোকে কিছুটা হতাশ দেখা গেছে। তবে তিনি বলেছেন, ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে কানাডা এ ধরনের পরিস্থিতি গঠনমূলকভাবে সামাল দিতে পেরেছিল। এবারও কানাডা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমঝোতায় আসার চেষ্টা করবে।

বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, কানাডার জন্য ট্রাম্প প্রশাসনের শুল্ক আরোপের হুমকি মোকাবিলা করা কঠিন হলেও, দুই দেশের পারস্পরিক নির্ভরশীলতা একটি সমঝোতার দিকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করতে পারে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button