ওযু করার সময় ৭টি সাধারণ ভুল, যা ৯৯ শতাংশ মানুষই করে থাকেন!

ওযু ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত এবং প্রতিটি সালাতের শর্ত। সঠিকভাবে ওযু করা না হলে নামাজের কবুল হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। অনেকেই প্রতিদিনের জীবনযাত্রায় ওযুর কিছু ভুল করে থাকেন, যা ওযুর পূর্ণতা নষ্ট করে দেয়। বিশেষজ্ঞ ইসলামী আলোচক শায়খ আহমাদুল্লাহ উল্লিখিত ভুলগুলোর প্রতি আলোকপাত করেছেন, যা আমাদের অনুসরণ করা উচিত।
১. বিসমিল্লাহ বলা ভুলে যাওয়া
ওযুর শুরুতে “বিসমিল্লাহ” বলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অনেক আলেম মনে করেন এটি ফরজ, আবার কেউ কেউ এটি সুন্নত হিসেবে গণ্য করেছেন। তবে বিসমিল্লাহ না বললে ওযু পূর্ণতা লাভ করে না।
২. মেসওয়াক না করা
নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, “আমার উম্মতের জন্য কষ্টকর না হলে, আমি প্রতিটি ওযুর সময় মেসওয়াক করা ফরজ করে দিতাম।” মেসওয়াক করা ওযুর একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত, যা অনেকেই পালন করেন না।
৩. কুলি করা ভুলভাবে করা
ওযুর সময় সঠিকভাবে কুলি করা জরুরি। অনেকেই মুখে পানি নিয়ে সরাসরি ফেলে দেন, কিন্তু এটি সঠিক পদ্ধতি নয়। পানি নিয়ে কিছুক্ষণ নাড়ানো ও কুলকুচি করা উচিত।
৪. নাকে পানি দেওয়ার ভুল পদ্ধতি
ওযুর সময় নাকে পানি টেনে নেওয়া এবং পরিষ্কার করা আবশ্যক। অনেকেই শুধু পানি ছিটিয়ে দেন, যা যথেষ্ট নয়। নাকে পানি নিয়ে হালকা টান দিতে হবে, যাতে পরিষ্কার হয়।
৫. নাক ঝাড়া
ওযু করার সময় নাক ঝাড়া একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাহ। অনেকেই তাড়াহুড়ো করে এই কাজটি ভুলে যান। তবে এটি সঠিকভাবে করা জরুরি।
৬. আঙ্গুলের ফাঁকে পানি পৌঁছানো না
হাত ও পায়ের আঙ্গুলের ফাঁকে পানি পৌঁছানো সুন্নত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “ওযুর সময় হাত ও পায়ের আঙ্গুলগুলো ভালোভাবে ধুয়ে নাও।” এটি ঠিকভাবে করতে হবে।
৭. শরীরের কোনো অংশ শুকনো থাকা
অনেক সময় কানের লতি, হাতের আংটি পড়া অংশ, কপালের কিছু অংশ শুকনো থেকে যায়। ওযুর সময় নিশ্চিত করতে হবে যে, সব অংশে পানি পৌঁছেছে।
সঠিক ওযু করার গুরুত্ব
হাদিসে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “পবিত্রতা ছাড়া কোনো সালাত কবুল হয় না।” (সহিহ বুখারি) তিনি আরও বলেন, “যে ব্যক্তি পরিপূর্ণভাবে ওযু করবে এবং ওযুর শেষে কালেমা শাহাদাত পাঠ করবে, তার জন্য জান্নাতের সমস্ত দরজা খুলে দেওয়া হবে।” (সহিহ মুসলিম)
সুতরাং, সঠিকভাবে ওযু করা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এসব ভুল থেকে সাবধান থাকা উচিত।