Bangladesh - BanglaBusiness & AgricultureNews

চাল-তেলের দাম বাড়তি, তবে বেশিরভাগ পণ্যের বাজার স্বস্তিদায়ক

এবার রোজার শুরু থেকেই বেশিরভাগ নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল থাকলেও চাল ও তেলের দামে অস্বস্তি রয়ে গেছে। বিশেষ করে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ কম, আর চালের বাজারেও এখনো তেমন কোনো স্বস্তি আসেনি। তবে অন্যান্য পণ্যের দাম কম থাকায় ক্রেতারা কিছুটা হলেও স্বস্তি পাচ্ছেন।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেশিরভাগ সবজির দাম তুলনামূলক কম। করলা ৬০-৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০-৯০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৪০-৬০ টাকা, টমেটো ২০-৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রমজানে লেবু, শসা ও বেগুনের চাহিদা বেশি থাকে, এবার এই পণ্যগুলোর দামও সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। বেগুন ৬০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যেখানে আগের বছর এটি ছিল ৮০-১০০ টাকা। লেবুর হালি ৪০ টাকা এবং শসার কেজি ৪০-৫০ টাকা দরে পাওয়া যাচ্ছে।

পেঁয়াজের দাম এবার তুলনামূলক কম। প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৩৬-৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যেখানে গত বছর এ দাম ছিল ১১০-১৩০ টাকা। আলুর দামও অর্ধেক কমে এখন ২০-২৫ টাকার মধ্যে রয়েছে।

মাংস ও ডিমের বাজারেও কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগির কেজি ২২০ টাকা থাকলেও এখন তা কমে ২০০ টাকায় নেমেছে। ডিমের দামও কমেছে, প্রথম রোজায় ডজনে ১৩০ টাকা হলেও এখন ১১৯ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।

এ বছর এখন পর্যন্ত চিনি, খেজুর ও ডালের দাম স্থিতিশীল থাকলেও বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট রয়েছে। কোথাও ১৮৫ টাকা, আবার কোথাও ১৯০ টাকা লিটার দরে বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে, চালের বাজারে এখনো অস্বস্তি কাটেনি। আমদানি শুল্ক কমানো হলেও খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি মোটা চাল ৫০-৫৫ টাকা, মাঝারি চাল ৫৮-৬৫ টাকা, আর সরু চাল ৭২-৮৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজার করতে আসা ক্রেতারা বলছেন, অন্যান্য বছর রোজার সময় নিত্যপণ্যের দাম অনেক বেশি বেড়ে যেত। এবার বাজার কিছুটা সহনীয় থাকলেও চাল ও তেলের দামের কারণে পুরোপুরি স্বস্তি পাওয়া যাচ্ছে না।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button