মাগরিবের নামাজের পর সূরা ওয়াকিয়া পড়ার ফজিলত

ইসলামে কুরআনের প্রতিটি সূরারই বিশেষ গুরুত্ব ও ফজিলত রয়েছে। তবে সূরা ওয়াকিয়াকে বিশেষভাবে সমৃদ্ধি ও রিজিক বৃদ্ধির আমল হিসেবে বিবেচনা করা হয়। হাদিসে উল্লেখ আছে, যারা প্রতিদিন মাগরিবের নামাজের পর সূরা ওয়াকিয়া পড়েন, তাদের দারিদ্র্য কখনো স্পর্শ করবে না।
হাদিসের আলোকে সূরা ওয়াকিয়ার গুরুত্ব
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন,
“যে ব্যক্তি প্রতিরাতে সূরা ওয়াকিয়া পাঠ করবে, সে কখনো অভাবগ্রস্ত হবে না।” (ইবনে মাজাহ: ৪১০০)
অন্য এক হাদিসে এসেছে,
“সূরা ওয়াকিয়া দারিদ্র্য দূর করে এবং রিজিক বৃদ্ধি করে।” (বায়হাকি)
মাগরিবের পর সূরা ওয়াকিয়া পড়ার উপকারিতা
✅ রিজিক বৃদ্ধি: আল্লাহ তায়ালা রিজিকের দরজা খুলে দেন এবং দারিদ্র্য দূর করেন।
✅ আর্থিক স্থিতিশীলতা: অভাব ও সংকট থেকে মুক্তি লাভ হয়।
✅ আত্মিক প্রশান্তি: মনকে প্রশান্ত ও দুশ্চিন্তামুক্ত রাখে।
✅ কবরের আজাব থেকে রক্ষা: মৃত্যুর পর কবরের কঠিন অবস্থার জন্য প্রস্তুতি হয়।
পাঠের নিয়ম
🔹 প্রতিদিন মাগরিবের নামাজের পর একবার সম্পূর্ণ সূরা ওয়াকিয়া পড়া উত্তম।
🔹 ইচ্ছা করলে তা তিনবার বা সাতবারও পড়া যেতে পারে।
🔹 মনোযোগ ও বিশুদ্ধ উচ্চারণে পড়া বেশি সওয়াবের কারণ হবে।
সূরা ওয়াকিয়া শুধু দারিদ্র্য দূর করে না, বরং আত্মিক প্রশান্তি ও আখিরাতের কল্যাণ নিশ্চিত করে। যারা নিয়মিত মাগরিবের পর এটি পাঠ করবেন, তারা দুনিয়া ও আখিরাতে কল্যাণ লাভ করবেন বলে হাদিসে উল্লেখ রয়েছে।