BlogCelebrity NewsNewsWorld - Bangla

অভিবাসন ইস্যুতে সেলেনা গোমেজকে ইঙ্গিতপূর্ণ খোঁচা ট্রাম্পের!

যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কড়াকড়ি পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এরই মধ্যে নিরাপত্তা বাহিনী ঝটিকা অভিযান চালিয়ে অভিবাসীদের গ্রেপ্তার করছে। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বজুড়ে আলোচনায় উঠে এসেছেন জনপ্রিয় গায়িকা ও অভিনেত্রী সেলেনা গোমেজ। অভিবাসীদের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে প্রকাশ করা এক আবেগঘন ভিডিওর কারণে চরম সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। যদিও পরে সেই ভিডিও মুছে ফেলেন, তবে বিতর্ক থামেনি। এবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেই ইঙ্গিতপূর্ণভাবে সেলেনাকে খোঁচা দিলেন।

হোয়াইট হাউসের ভিডিওতে সেলেনাকে লক্ষ্যবস্তু বানাল ট্রাম্প প্রশাসন?

শুক্রবার হোয়াইট হাউসের অফিসিয়াল এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে একটি ভিডিও শেয়ার করা হয়। সেখানে তিন মার্কিন নারী তাঁদের সন্তানদের হত্যার জন্য অবৈধ অভিবাসীদের দায়ী করেন। এক নারী বলেন, ‘ভিডিওটি দেখে সত্যি মনে হয়নি, কারণ তিনি একজন অভিনেত্রী।’ আরেকজন বলেন, ‘আমার সন্তানকে হারিয়েছি, যাকে অবৈধ অভিবাসীদের জন্য জীবন দিতে হলো। সীমান্ত পেরিয়ে আসা এসব লোকজন আমাদের পরিবার ধ্বংস করে দিচ্ছে।’

ভিডিওতে সরাসরি সেলেনার নাম উল্লেখ করা না হলেও কার উদ্দেশ্যে এটি তৈরি, তা অনেকটাই স্পষ্ট।

সেলেনার কান্নার ভিডিও: সমর্থন না বিতর্ক?

অভিবাসীদের দুর্দশা নিয়ে কয়েকদিন আগে ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও পোস্ট করেন সেলেনা গোমেজ। কাঁদতে কাঁদতে তিনি বলেন, ‘আমি অত্যন্ত দুঃখিত। মানুষজন বিপদের মুখে পড়ছে, শিশুরাও রেহাই পাচ্ছে না। আমি বুঝতে পারছি না, কী হচ্ছে! যদি আমি কিছু করতে পারতাম… আমি জানি না, কী করব। তবে আমি প্রতিজ্ঞা করছি, আমি আমার সাধ্য অনুযায়ী সব করব।’

সেলেনা গোমেজ

সেলেনার এই আবেগঘন বার্তায় অভিবাসীদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ পেলেও ট্রাম্প-সমর্থকরা তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখায়। কেউ কেউ তাঁকে ‘মিথ্যা নাটক’ করার অভিযোগ এনে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কারের দাবিও তোলে। প্রবল সমালোচনার মুখে শেষ পর্যন্ত ভিডিওটি মুছে ফেলেন সেলেনা।

অভিবাসন ইস্যুতে বরাবরই সরব সেলেনা

এটি প্রথমবার নয়, এর আগেও ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসন নীতির বিরোধিতা করেছেন সেলেনা গোমেজ। গত অক্টোবরে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি সবসময় নিপীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়াতে চাই।’

সেলেনার পরিবারও মেক্সিকো থেকে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিল। ১৯৭০ সালে তাঁর দাদা-দাদি এবং ফুফু সীমান্ত পেরিয়ে টেক্সাসে বসবাস শুরু করেন। পারিবারিক অভিজ্ঞতার কারণে অভিবাসীদের প্রতি তাঁর বিশেষ সহমর্মিতা রয়েছে।

সেলেনা বনাম ট্রাম্প: বিতর্কের শেষ কোথায়?

ট্রাম্প প্রশাসনের কড়া অভিবাসন নীতি এবং সেলেনার আবেগী প্রতিক্রিয়ার মধ্যে এই বিতর্ক আরও বড় পরিসরে ছড়িয়ে পড়ছে। একদিকে ট্রাম্পের নীতির প্রতি সমর্থন জানিয়ে অভিবাসনবিরোধীরা সেলেনাকে আক্রমণ করছে, অন্যদিকে সেলেনার সমর্থকেরা তাঁকে সাহসী কণ্ঠস্বর হিসেবে দেখছেন।

এই বিতর্কের শেষ কোথায় গড়াবে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button