বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু আগামীকাল , তুরাগ তীরে লাখো মুসল্লির সমাগমের প্রস্তুতি
আগামীকাল শুরু হচ্ছে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব, যেখানে দেশ-বিদেশের লাখো মুসল্লি তুরাগ তীরে সমবেত হবেন। প্রথম পর্বটি ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে, এবং এর শেষ হবে আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে। এরপর ৩ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে দ্বিতীয় পর্ব, যা ৫ ফেব্রুয়ারির আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে।
এই বছর ইজতেমা দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হচ্ছে শুরায়ী নেজামের অধীনে, এবং এতে ঢাকাসহ ৪১ জেলার মুসল্লিরা অংশগ্রহণ করবেন। গাজীপুর, টঙ্গী, ধামরাই, গাইবান্ধা, মিরপুর, কাকরাইলসহ দেশের নানা অঞ্চল থেকে লাখো মুসল্লি অংশগ্রহণ করতে প্রস্তুত। তাছাড়া, ৫০টিরও বেশি দেশ থেকে বিদেশি মুসল্লিরাও ইজতেমা ময়দানে পৌঁছেছেন এবং তাদের জন্য বিশেষভাবে নির্ধারিত কামরা বরাদ্দ করা হয়েছে।
ইজতেমার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে। গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার ড. নাজমুল করিম খান জানিয়েছেন, প্রায় সাত হাজার পুলিশ সদস্য ইজতেমা মাঠে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিয়োজিত থাকবে। ময়দান এলাকায় র্যাবের হেলিকপ্টার টহল দেবে, এবং বোম ডিসপোজাল ইউনিট ও ডগ স্কোয়াড প্রস্তুত থাকবে।
নিরাপত্তার আরও উন্নতির জন্য ইজতেমা মাঠকে পাঁচটি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছে এবং ১৬টি ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন করা হয়েছে, যেখানে গোটা এলাকা পর্যবেক্ষণ করা হবে। ৩৩৫টি সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে পুরো মাঠের ওপর নজরদারি রাখা হবে। এছাড়া, ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে কাজ করবে।
বিশ্ব ইজতেমার বিশাল আয়োজনে দেশ-বিদেশের মুসল্লিরা অংশগ্রহণ করে ইসলামের আলোতে আধ্যাত্মিকতা ও ঐক্যবদ্ধতার এক অনন্য মিলনমেলা সৃষ্টি করবেন। ইজতেমা চলাকালীন সময় যানজট নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পণ্যবাহী ট্রাক ইজতেমা এলাকায় প্রবেশ করতে পারবে না এবং আখেরি মোনাজাতের দিন সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে।
বিশ্ব ইজতেমা কেবল একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানই নয়, বরং এটি মুসলিম বিশ্বের জন্য একটি বৃহৎ আধ্যাত্মিক মিলনমেলা, যা তুরাগ তীরে এক অপূর্ব দৃশ্যের সৃষ্টি করবে।