NewsReligionWorld - Bangla

৮ লাখ টাকায় বিক্রি হবে ২০ মণের কালাচাঁন!

শখ করে ‘কালাচাঁন’ নাম রাখা হয়েছে বিশাল আকারের একটি ষাঁড়ের। পুরো শরীর কালো রঙে মোড়া আর কপালে রয়েছে সাদা দাগ, যেন এক রাজকীয় মুকুট। দেখতে শান্ত-শিষ্ট হলেও চোখের চাহনিতে যেন লুকিয়ে আছে একধরনের আগুন। বয়স সাড়ে চার বছর আর ওজন প্রায় ২০ মণ। কালাচাঁনকে ঘিরে এখন চলছে আলোচনার ঝড়—কারণ তার দাম হাঁকা হচ্ছে ৮ লাখ টাকা।

ষাঁড়টির দেখভাল করেন নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা উপজেলার খলিশাউর ইউনিয়নের পাবই গ্রামের রেজাউল ও তার স্ত্রী আম্বিয়া খাতুন। তবে তারা গরুটির মালিক নন। আসল মালিক কামাল উদ্দিন, যিনি টানা পাঁচবারের ইউপি সদস্য। শখের বশে তিনি চার বছর আগে স্থানীয় হাট থেকে ৭৫ হাজার টাকায় ষাঁড়টি কেনেন এবং প্রতিপালনের দায়িত্ব দেন তার ভাতিজা রেজাউলকে। এরপর থেকেই রেজাউল ও তার স্ত্রী স্নেহ ও যত্নে বড় করেছেন কালাচাঁনকে।

রেজাউলের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, একটি ঘরে বেশ কিছু গাভী ও একটি বড় ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড় রাখা আছে। সেই ঘর পরিষ্কার করছেন আম্বিয়া খাতুন। হঠাৎ বৃষ্টি নামলে কালাচাঁনকে বাইরে নিয়ে গিয়ে বৃষ্টির পানিতে গোসল করিয়ে দেন তিনি। ষাঁড়টির প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় থাকে গম, ভুষি, খৈল, মাসকলাই ডালসহ প্রায় ১৫ কেজি পুষ্টিকর খাবার।

রেজাউল বলেন, “কালাচাঁন আমাদের পরিবারের এক সদস্যের মতো। শুধু আমি নয়, আমার পরিবারের সবাই ওর খেয়াল রাখে।”

কালাচাঁনের মালিক কামাল উদ্দিন জানান, “আমি আগে থেকেই কৃষি কাজ করতাম। পাশাপাশি গরু পালনেরও শখ ছিল। ১৯৯৭ সালে প্রথম ইউপি সদস্য হই, তখন থেকেই এই শখ চালিয়ে যাচ্ছি। কালাচাঁন আমার খুব প্রিয়। গত কুরবানির ঈদে ময়মনসিংহ সার্কিট হাউজ মাঠে নিয়ে গিয়েছিলাম, কিন্তু আশানুরূপ দাম না পেয়ে বিক্রি করিনি। এখন সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এবারের কুরবানির ঈদে বিক্রি করবো। অনেক পাইকার এলেও এখন পর্যন্ত কাউকে বিক্রি করিনি। আমি গরুটির দাম চাচ্ছি ৮ লাখ টাকা।”

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button