তদন্ত প্রতিবেদনে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগ

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে পাঁচটি পয়েন্ট উত্থাপন করা হয়েছে। সোমবার (১২ মে) এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, শেখ হাসিনাসহ তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং পুলিশ প্রধান চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের পরিকল্পনা, নির্দেশ ও উসকানির অভিযোগ আনা হয়েছে।
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে উত্থাপিত পাঁচটি অভিযোগের মধ্যে দুটি প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রথম অভিযোগ: শেখ হাসিনা রাজাকার-পরিবারের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বক্তৃতা দিয়ে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন, যা সরকারের দলীয় কর্মীদের ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার জন্য প্ররোচিত করে। এর ফলে ব্যাপক সহিংসতা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়।
দ্বিতীয় অভিযোগ: শেখ হাসিনা সরাসরি রাষ্ট্রীয় বাহিনীকে নিরস্ত্র আন্দোলনকারীদের দমনে শক্তি প্রয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন। তদন্তে পাওয়া টেলিফোন কথোপকথনে ড্রোন, হেলিকপ্টার ও অন্যান্য মারাত্মক অস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ট্রাইব্যুনাল ২০ এপ্রিলের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দেয়। শুনানিতে প্রসিকিউশনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত চিফ প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম।
এর আগেও ২০২৪ সালের ১৭ ডিসেম্বর, জুলাই-আগস্টের গণহত্যা সংক্রান্ত মামলায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত দুই মাসে শেষ করার আদেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল।
জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে ব্যাপক দমন-পীড়ন চালানো হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এতে প্রায় দেড় হাজার মানুষ প্রাণ হারান। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার গণহত্যার বিচার শুরুর ঘোষণা দেয়।