ছিনতাইকারীর হাত থেকে বাঁচবেন যেভাবে

বিশ্ববিদ্যালয়, অফিস কিংবা যেকোনো জায়গায় চলাফেরা করার সময় ছিনতাইয়ের ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে, বিশেষ করে শহরাঞ্চলে। তবে কিছু সহজ সাবধানতা অবলম্বন করলে এই বিপদ থেকে বাঁচা সম্ভব। আসুন জেনে নিই, কীভাবে ছিনতাইকারীর হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করা যায়।

নিরাপদ চলাচলের কৌশল

• জনবহুল জায়গায় চলাফেরা করুন: একা বা ফাঁকা জায়গায় হাঁটার সময় ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। তাই সম্ভব হলে ব্যস্ত রাস্তা বা জনবহুল স্থানে চলাফেরা করুন।
• ফুটপাথ ব্যবহারে সতর্কতা: ফুটপাথ দিয়ে হাঁটার সময় ভবনের পাশ দিয়ে না হেঁটে রাস্তার দিকে থাকুন। এতে ভবনের আড়ালে লুকিয়ে থাকা কোনো ব্যক্তি আকস্মিকভাবে আক্রমণ করতে পারবে না।
• অন্ধকার বা নির্জন স্থান এড়িয়ে চলুন: সন্দেহজনক কোনো ব্যক্তি অনুসরণ করলে দ্রুত নিরাপদ স্থানে যান।
• আত্মরক্ষার সরঞ্জাম সঙ্গে রাখুন: নিজের নিরাপত্তা জন্য পিপার স্প্রে, বাঁশি, ওয়াকিং স্টিক ইত্যাদি সঙ্গে রাখতে পারেন। তবে আত্মরক্ষার কৌশল জানলে এই সরঞ্জামগুলো আরও কার্যকর হবে।
• আত্মবিশ্বাসী থাকুন: সচেতনভাবে চলুন, কারণ আত্মবিশ্বাসী ব্যক্তি ছিনতাইকারীদের কাছে সহজ লক্ষ্য হয় না।

মূল্যবান জিনিসপত্র ব্যবহারে সতর্কতা

• দামি জিনিস আড়ালে রাখুন: গহনা, মোবাইল বা ক্যাশ টাকা প্রকাশ্যে ব্যবহার করবেন না। নিরাপদ জায়গায় গিয়ে ব্যবহার করুন।
• ব্যাগ সামনের দিকে রাখুন: ব্যাগ বা পার্স সামনের দিকে রাখুন এবং শক্তভাবে ধরে রাখুন।

বিপদের মুহূর্তে করণীয়

• দুটি অবস্থান বজায় রাখুন: ছিনতাইকারীকে সম্পূর্ণ অসহায় দেখান, অথবা আত্মবিশ্বাসের সাথে প্রতিক্রিয়া জানান।
• ছিনতাইকারীকে বোঝানোর চেষ্টা করুন: শান্তভাবে কথা বলে পরিস্থিতি সামাল দিন।
• হুমকি সম্পর্কে সতর্ক করুন: তাকে বোঝান, আপনার ক্ষতি হলে সে সহজেই ধরা পড়বে।
• সতর্ক ও চটপটে থাকুন: দ্রুত সিদ্ধান্ত নিন, যাতে ছিনতাইকারী আক্রমণ করতে সাহস না পায়।

অতিরিক্ত সতর্কতা

• স্থানীয়দের মতো পোশাক পরুন: ট্যুরিস্টদের সহজ লক্ষ্য মনে করে ছিনতাইকারীরা।
• বিপদে পড়লে দৌড়ানোই শ্রেয়: একা থাকলে লড়াইয়ের বদলে দ্রুত নিরাপদ জায়গায় চলে যান।
• আলোকিত রাস্তা ব্যবহার করুন: রাতে চলাচলে আলোকিত পথ ব্যবহার করুন।
• পুলিশের সাহায্য নিন: সন্দেহজনক পরিস্থিতি হলে ৯৯৯-এ কল করুন বা আশপাশের মানুষের সাহায্য নিন।

এটা নিশ্চিতভাবে বলা যায় না যে, ছিনতাই বা আক্রমণ এড়ানো সম্ভব, তবে সাবধানতা অবলম্বন করলে বিপদের ঝুঁকি অনেকটাই কমানো সম্ভব। নিরাপদ থাকুন!