একসাথে কাজ না করলে দেশ ও জাতির সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হবে: সেনাপ্রধান

আজ রাজধানীর রাওয়া ক্লাবে ২০০৯ সালের পিলখানা হত্যাকাণ্ডের শহীদদের স্মরণে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, “আমি আপনাদের সতর্ক করে দিচ্ছি, যদি আমরা একসাথে কাজ না করি, তাহলে আমাদের দেশের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়বে।”
তিনি আরও বলেন, “দেশের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আমাদের সবাইকে এক থাকতে হবে। যদি আমরা নিজেদের মধ্যে কাদা ছোড়াছুড়ি করি, তবে সেটি দেশ ও জাতির জন্য বিপদের কারণ হবে।”
সেনাপ্রধান পিলখানা হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গে বলেন, “বিডিআর হত্যাকাণ্ডটি বিডিআর সদস্যদের কাজ ছিল, সেনাবাহিনীর কেউ এর সাথে জড়িত ছিল না।” তিনি সাফ জানিয়ে দেন যে, গত ১৬-১৭ বছর ধরে চলা বিচার প্রক্রিয়ায় কোনো ‘যদি’ বা ‘কিন্তু’ থাকার জায়গা নেই, এবং দোষীদের যথাযোগ্য শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান আরও বলেন, “বিডিআর বিদ্রোহে বিদেশী বা রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা নিয়ে একটি কমিশন তদন্ত করছে এবং তাদের প্রতিবেদন শেয়ার করা হবে।”
এছাড়া তিনি বলেন, “যারা নিজেদের প্রতি অবিচার হয়েছে বলে মনে করছেন, তাদের জন্য লেফটেন্যান্ট জেনারেলের নেতৃত্বে একটি বোর্ড গঠন করা হয়েছে, যারা এসব মামলা পর্যালোচনা করবে।”
সেনাপ্রধান আরও উল্লেখ করেন, “আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার পেছনে একটি বড় কারণ হলো নিজেদের মধ্যে হানাহানি। আমরা যদি নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে জড়িয়ে না পড়ি এবং একত্রিত হয়ে কাজ করি, তাহলে এ পরিস্থিতি মোকাবেলা সম্ভব।”
তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নানা সংস্থার ভূমিকাও তুলে ধরে বলেন, “এতো বছর দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ছিল কারণ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা এবং সিভিলিয়ানরা মিলে প্রতিষ্ঠানগুলোকে কার্যকর রেখেছেন। তবে, যারা অপরাধ করেছে, তাদের শাস্তি হওয়া দরকার।”
“শান্তি ও শৃঙ্খলা কেবল সেনাবাহিনীর দায়িত্ব নয়,” বলে সেনাপ্রধান আরও বলেন, “আমাদের ৩০ হাজার সৈন্য রয়েছে, কিন্তু অন্যান্য বাহিনী যেমন পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, আনসার ভিডিপি আছে। আমরা একসাথে কাজ না করলে দেশে শান্তি শৃঙ্খলা আসবে না।”
এটি সেনাপ্রধানের অনুরোধ, সবাই একত্রিত হয়ে কাজ করলে, দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষা করা সম্ভব হবে।