রাজধানীর বিভিন্ন মোড়ে ইফতারের জমজমাট আয়োজন

পবিত্র রমজানের প্রথম দিনেই ইফতারের প্রাণবন্ত আবহ ফিরে এসেছে রাজধানী ঢাকায়। শহরের প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে গলির মোড়গুলোতে নানা রকম ইফতার সামগ্রী নিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। গরমে মিষ্টি শরবত, সুস্বাদু ভাজাপোড়া ও ঐতিহ্যবাহী খাবারের সমারোহে মুখরিত হয়ে উঠেছে নগরজীবন।
পুরান ঢাকার চকবাজারের ইফতার বাজার বরাবরের মতোই ভিড় জমিয়েছে রোজাদারদের। কেউ পিঁয়াজু ও বেগুনি ভাজছেন, কেউ আবার সাজিয়ে রেখেছেন আলুর চপ ও ডিম চপ। বড় হাঁড়িতে সুস্বাদু হালিম তৈরি করছেন রেস্তোরাঁকর্মীরা, আর তার পাশেই ধনিয়া, পুদিনা, লেবু ও শসার পসরা সাজিয়ে বসেছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।
বাজার দর কিছুটা বাড়লেও ইফতারের সামগ্রীর বিক্রিতে তার তেমন প্রভাব পড়েনি। ছোলা-মুড়ি বিক্রেতারা জানিয়েছেন, দামে খুব বেশি পরিবর্তন আসেনি, তবে কিছু খাবারের পরিমাণ সামান্য কমানো হয়েছে। এক বিক্রেতার ভাষায়, “দাম বাড়ায় বেগুনিতে বেগুনের পরিমাণ কিছুটা কমেছে, তবে দাম আগের মতোই রয়েছে— ১০ টাকা পিসে বেগুনি, ৫ টাকা পিঁয়াজু ও ১৫ টাকায় ডিম চপ পাওয়া যাচ্ছে।”
জিলাপি ও হালিমও ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। রেস্তোরাঁয় জিলাপির দাম কেজিপ্রতি ৬০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত, তবে রাস্তার দোকানগুলোতে এর দাম ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকার মধ্যে রাখা হয়েছে। অন্যদিকে, গরুর মাংসের হালিমের এক কেজির প্রতিটি বাটি বিক্রি হচ্ছে ১৮০০ থেকে ৩০০০ টাকার মধ্যে, যা স্থানভেদে পরিবর্তিত হচ্ছে।
এ ছাড়াও ইফতারে থাকছে আস্ত মুরগি, খাসির রেজালা, শাহি টুকরা, জালি কাবাব, ঝাল পিঠা, চিকেন সাসলিক, চিকেন চপ, ভেজিটেবল রোলসহ নানা সুস্বাদু আইটেম।
বিক্রেতারা জানিয়েছেন, রমজানের প্রথম দিন থেকেই ইফতার সামগ্রীতে ক্রেতাদের বিপুল আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে ছোলা-মুড়ি থেকে শুরু করে প্রতিটি খাবার বিকিকিনি শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত চলবে।
রমজানের প্রথম দিন থেকেই রাজধানীতে ইফতারের এই বৈচিত্র্যময় আয়োজন শহরজুড়ে এক উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি করেছে।