বিএনপি ও ছাত্রনেতারা বৃহত্তর সমঝোতায় আগ্রহী: ফেসবুকে আসিফ নজরুল

বিএনপি এবং ছাত্রনেতাদের মধ্যে কোনো দূরত্ব বা ভুল বোঝাবুঝি গণতান্ত্রিক আন্দোলনের জন্য ক্ষতিকর হবে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন, এটি গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী এবং তাদের দোসরদের আরও বেপরোয়া করে তুলতে পারে।
আসিফ নজরুল বলেন, বিএনপি ও ছাত্রনেতারা নির্বাচনকেন্দ্রিক বৃহত্তর সমঝোতায় আগ্রহী। তবে এর ধরন এবং ফর্মুলা নির্ধারণের জন্য আলোচনা প্রয়োজন। তিনি বলেন, আমাদের ঐক্য ছাড়া বিকল্প নেই। যারা গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আত্মত্যাগ করেছেন, তাদের সম্মান জানিয়ে ঐক্যবদ্ধ থাকাই এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ।
সম্প্রতি অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এবং অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের পলায়নের গুজব নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সরব হয়ে উঠেছিল। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই ধরনের গুজব সরকারদলীয় কর্মীদের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে উৎসাহিত করে। তাই বিভ্রান্তি এড়াতে সচেতন থাকা জরুরি।
তিনি ফেসবুক পোস্টে পাঁচটি পয়েন্ট তুলে ধরেন:
১. বিএনপি কোনো ষড়যন্ত্র বা ১/১১ ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে আগ্রহী নয়।
২. ছাত্রনেতারা সরকারে থাকা অবস্থায় কোনো রাজনৈতিক দল গঠন করছেন না।
৩. জুলাই ঘোষণাপত্র হবে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের শক্ত ভিত্তি, যা সকল পক্ষের মতামত অন্তর্ভুক্ত করবে।
৪. বৃহত্তর সমঝোতা নিয়ে বিএনপি এবং ছাত্রনেতারা উন্মুক্ত।
৫. ভিন্নমত থাকা সত্ত্বেও ঐক্যবদ্ধ থাকা জরুরি।
আসিফ নজরুল লেখেন, গণহত্যাকারীদের দল আওয়ামী লীগ শক্তিশালী নেটওয়ার্ক এবং লুটের টাকায় বলীয়ান। তাদের মোকাবিলায় আমাদের ঐক্য অপরিহার্য। ভিন্নমত থাকতে পারে, তবে তা যেন শত্রুদের জন্য সুবিধাজনক না হয়ে ওঠে।